ট্রেন্ডিং

ঝাড়খণ্ড আন্দোলন কেন শুরু হয়েছিল?

করম পরব উপলক্ষ্যে ঝাড়খণ্ড পার্টির পোশাক বিতরণ কর্মসূচী|

ঝাড়খণ্ড পার্টির চাঁইবাসা জেলা কমিটির মিটিং|

ঝাড়খণ্ডীদের আন্দোলনে পুলিস বার বার গুলি চালায় কেন?

ঝাড়খণ্ড পার্টির লোহারদাগা টাউন কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হলেন মাননীয় দীপক কুমার সাহু মহাশয়|

ঝাড়খণ্ড পার্টির গুমলা জেলা সম্মেলন|

মালদা জেলার গঙ্গা পাড়ের বাসিন্দাদের দুর্দশা|

ন’বছরের দলিত ছাত্রকে পিটিয়ে মারার তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানাই ঝাড়খণ্ড পার্টি, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির পক্ষ থেকে|

মর্যাদার সাথে ৩০ শে জুন হুল দিবস পালন করুন|

আগামী ৩০ শে জুন হুল মাহা বা হুল দিবস যারা পালন করবেন, তাঁদের প্রতি ঝাড়খণ্ড পার্টি, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটি এর পক্ষ থেকে অনুরোধ, এই দিন কোনো ডিজে বা ছাপল নাচ এর আয়োজন করবেন না| এই দিনটি আনন্দ করবার দিন নয়, অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠার দিন|
১৮৫৫ সালের ৩০ শে জুনে, ভগনাডিহির মাঠে বীরবান্টা সিদো, কান্হু, চাঁদ ও ভৈরো, এই চার সাঁওতাল ভাই এর ডাকে, ইংরেজ শাসনের অবসান ঘটাতে বিদ্রোহ বা “হুল” এর ডাক দেওয়া হয়েছিল| এই বিদ্রোহ বা “হুল” এ ইংরেজ সেনাবাহিনীর সাথে লড়াইয়ে প্রায় ১০,০০০ বিদ্রোহীর মৃত্যু হয়েছিল, যারা বেঁচে গিয়েছিল, তাঁদেরও অনেকেরই ফাঁসি, যাবজ্জীবন জেল বা দীপান্তর হয়েছিল| তাই এই দিনটি কোনো মতেই আনন্দ করার দিন নয়| এই দিনটিতে আনন্দ করলে, যারা দেশ ও সমাজের জন্য প্রাণ দিয়েছিলেন, তাঁদের অপমান করা হবে| এই সাঁওতাল বিদ্রোহ বা হুলের কারণে তৎকালীন ইংরেজ সরকার আদিবাসীদের অনেক অধিকার দিতে বাধ্য হয়েছিল, যার মধ্যে অন্যতম ১) আদিবাসীদের জমি অ-আদিবাসীরা কিনতে বা দখল করতে পারবে না, ২) আদিবাসীদের মাঝি-পারগানা-মানকি-মূণ্ডা স্বশাসন ব্যবস্থাকে সরকারী স্বীকৃতি দেওয়া, ৩) আদিবাসী সাঁওতালদের জন্য পৃথক সাঁওতাল পরগণা এলাকা গঠন করা, ইত্যাদি| তাই ৩০ শে জুন হুল মাহা বা হুল দিবসে সমস্ত শহীদদের স্মরণ করা উচিৎ, আমাদের পূর্বপুরুষরা নিজেদের প্রাণ দিয়ে আমাদের জন্য যে অধিকার আদায় করে দিয়ে গেছেন, তা রক্ষা করার শপথ নেওয়া উচিৎ|
জয় ঝাড়খণ্ড, জয় ভারত| সিদো, কান্হু, চাঁদ ও ভৈরো জিৎকার| ৩০ শে জুন হুল মাহা বা হুল দিবস জিৎকার|